গোপালগঞ্জের ৬ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী আজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোপালগঞ্জে ট্রেন চলাচলসহ ৬ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন আজ বৃহস্পতিবার।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ হাজার ৩ শ’ ৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এদিন সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ- গোবরা সেকশনে নব নির্মিত ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনে বঙ্গমাতা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধনকালে গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল ইসলাম জানান, এক হাজার ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে গোবরা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেললাইন নির্মিত হয়েছে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনষ্ট্রাকশন এন্ড কোম্পানী লিমিটেড নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ রেল লাইনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ লাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে। ইতিমধ্যে এ রেল লাইনে সফল ট্রেন চলাচলের উপযোগিতা যাচাই সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জে নব নির্মিত এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেডের (ইডিসিএল) তৃতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্প ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে। এ প্রকল্পে সহ¯্রধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. এহসানুল কবির জগলুল জানান, প্রায় ৬ শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেডের তৃতীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পরে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর ওপর দেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মিত হচ্ছে। সেতুর চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির এবং দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে।

সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। জাপানের টেককেন কর্পোরেশন, ওয়াইবিসি ও বাংলাদেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো ৩ বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পান্ন করবে বলে সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক কে এম আতিকুল হক কালনা সেতু সম্পর্কে এ তথ্য প্রদান করে জানান, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও ব্যতিক্রমী প্রথম ছয় লেনের সেতু হবে এটি।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গোপালগঞ্জ বেতার কেন্দ্র, প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানা ভবন ও ৪৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্বোধন করবেন।

৩০ অক্টোবর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ কাজী নিশাত রসুল স্বাক্ষরিত ফ্যাক্স বার্তায় বলা হয়েছে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শান্তি মনি চাকমা জানান, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জে ৬টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।